অনুচ্ছেদ-১: 'ক' নামক একটি এলাকাতে 'খ' নামক একজন ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি মনোনীত হন। 'খ' জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর পরই তার কাছের লোকদের দ্বারা বাধার সম্মুখীন হন। এ সুযোগে ঘরে-বাইরের ষড়যন্ত্রে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
অনুচ্ছেদ-২: সুন্দরগঞ্জ এলাকার মানুষ যথাযথ শিক্ষার সুযোগ লাভ করতে না পেরে অজ্ঞতা ও অন্ধবিশ্বাসে নিমজ্জিত ছিল। এ অবস্থায় তাদের মধ্যে এক নতুন ধরনের শিক্ষার বিস্তার লাভ করায় এতদিন ধরে তারা যে ভুল ও অযৌক্তিক কাজ করে আসছিল সে সম্পর্কে তাদের মনে প্রশ্ন জাগে।
উদ্দীপকের অনুচ্ছেদ-২-এ বর্ণিত বিষয়টির মতো ইতিহাসের ইংরেজরা তাদের শাসন পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে দেশীয়দের মধ্য থেকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত একটি অনুগত শ্রেণি তৈরিতে মনোযোগ দেয়। এ কারণে তারা ১৭৮১ সালে কলকাতা মাদ্রাসা এবং ১৭৯১ সালে সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করে। ফলশ্রুতিতে ইংরেজদের উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্তে আধুনিক শিক্ষার সংস্পর্শে এসে স্থানীয় মানুষের মধ্যে নতুন চেতনার স্ফুরণ ঘটতে থাকে। বহুকালের প্রচলিত বিশ্বাস, সংস্কার, বিধান সম্পর্কে প্রশ্ন জাগতে থাকে। এই সময় প্রচলিত ধর্ম, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, সামাজিক রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে এক ধরনের চিন্তার বিপ্লব সূচিত হয়। এ নতুন চেতনা ও নতুন চিন্তার মধ্যেই বাংলার রেনেসাঁ বা নবজাগরণেরঘটনা হলো নবজাগরণ, যা মানুষের মধ্যে এক নতুন চেতনা তথা জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটে।
বিরুদ্ধে রীতিমতো আন্দোলন শুরু হয়। বিধবা বিবাহের পক্ষে মত তৈরি হয়। এদেশে এসময় জ্ঞানচর্চায় সীমিত কিন্তু কার্যকর জোয়ার সৃষ্টি হয়। প্রকাশনা ও মুদ্রণযন্ত্রের স্থাপনের মাধ্যমে মানুষের মনকে মুক্ত করা ও জাগিয়ে তোলার পথ খুলে যায়। ফলে সংবাদপত্র ও বইপুস্তকের মাধ্যমে শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে রাজা রামমোহন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ডিরোজিও মাইকের প্রমুখ সাধকদের অবদান ব্যাপক। বাঙালির এই নবজাগরণ কলকাতা মহানগরীতে ঘটলেও এর পরোক্ষ প্রভাব সারা বাংলাতেই পড়ে। এর ফলে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটে। সেই সাথে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ও গণতান্ত্রিক অধিকারবোধেরও উন্মেষ ঘটে।
তাই বলা যায়, অনুচ্ছেদ-২-এর বিষয়টি বাংলার মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনার সৃষ্টি করে।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?